আফটার শেইভ কেন ব্যবহার করতে হয় এবং ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
কম বেশি অনেকেই শেইভ করে থাকেন। প্রায় সবাই শেইভ করার পর আফটার শেইভ লাগায়, কেউ হয়তো জেনে লাগায়, কেউ হয়তো না জেনে লাগায়। সেদিন রিকশায় বসে জ্যামে আটকে ছিলাম। হঠাতই মাথা আসলো বিষয়টা অনেকেরই অজানা থাকতে পারে। ছোটখাট একটা পোস্ট লিখে ফেললে মন্দ হয়না।
আফটার শেইভ লাগানোর প্রধাণ কারণ হলো অনেক সময় শেইভ করতে গেলে রেজর ভোতা থাকলে বা অসাবধানতার কারণে গাল কেটে-ছড়ে যেতে পারে। ক্ষত স্থানে যাতে ইনফেকশন হতে না পারে সেই কারণেই মূলত আফটার শেইভ লাগানো হয়। তাছাড়া শেইভ করার পর রেজর এর কারণে জ্বলন হতে পারে মুখে, সেই জ্বলন বন্ধেও আফটার শেইভ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া রিফ্রেশিং প্রাণবন্ত আরামদায়ক অনুভূতির জন্যেও ব্যবহার করা হয়।
অধিকাংশ আফটার শেইভ এই অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় আর আধুনিক প্রতিটি আফটার শেইভে সুগন্ধী ব্যবহার করা হয়। দিন যত গড়াচ্ছে আর সবকিছুর মতো আফটার শেইভেও যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সুবিধা। সম্প্রতি বেশ কিছু বছর ধরে আফটার শেইভের সাথে মশ্চারাইজার থাকে, যা ত্বককে মসৃণ আর প্রাণবন্ত করতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত শেইভ করেন তাদের জন্যে এটি একটি অতীব প্রয়োজনীয় উপাদান।
ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতিঃ
১.আপনার চেহারার সাথে মানানসই এমন আফটার শেইভ ব্যবহারের জন্যে নির্বাচন করুন। তরল, ক্রিম, বাম জেল হিসেবে আফটার শেইভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে তরলটাই বেশি জনপ্রিয়, তবে আপনি আপনার সাথে যায় এমন আফটার শেইভ ব্যবহার করতে পারেন।
২.শেইভ করার সাথে সাথেই আফটার শেইভ লাগাবেন না। এতে বেশ জ্বলন হতে পারে। শেইভ করার পর পুরো মুখ ফ্রেশ তাওয়েল বা টিস্যু দিয়ে মুছুন অতঃপর কিছু সময় পরে আফটার শেইভ ব্যবহার করুন।
৩.মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ঠিক যতটূকু প্রয়োজন ততটুকুই ব্যবহার করুন।
৪.ব্যবহারের আগে দুই হাতে ভালো করে মেখে নিন।
৫.ত্বক সেনসিটিভ হলে সুগন্ধী এবং অযাচিত উপাদান আছে এমন আফটার শেইভ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন, কিঞ্চিৎ উপকার হলেও হতে পারেঃ