খেজুরের উপকারিতা যেগুলো হয়ত আমাদের অজানা
ইফতারের খেজুর বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খেঁজুর খেয়ে ইফতার করতেন। তাই খেঁজুর খেয়ে ইফতার করা সুন্নত। আর এ বিষয়টি মাথায় রেখে সবারই ইফতারের তালিকায় কম-বেশি খেঁজুর রাখেন। শুধু ইফতারেই না অনেকে আবার বেড়াতে গেলে ব্যাগে খেজুর বহন করেন। প্রত্যেটা ট্যুরে আমি নিজেও খেজুর নিয়ে যাবার চেষ্টা করি।
মুসলমানদের কাছে খেজুর খুব সম্মানিত খাবার। খেজুর খাওয়া সুন্নত। তাই সাধারণত রমজানে খেজুরের কদর একটু বেশি বেড়ে যায়। খেজুর না থাকলে আমাদের ইফতার যেন পরিপূর্ণতা পায় না।
খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক রয়েছে। যা স্বাস্থের পক্ষে ভাল। খেজুর পুষ্টিগুণে ভরা একটি খাবার। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে খেজুর খুব উপকারী। এটি রক্তচাপ ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।আবার ত্বকের উজ্জ্বলতায় ধরে রাখে।
খেঁজুরের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক সুগারের জন্য এটি খেতে খুব সুস্বাদু। রমজানে ইফতারে বা এমনিতেই খালি পেটে খেজুর খেজুর খেঁজুরে যে শর্করা উপাদান থাকে তা দ্রুত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি সারাদিনের ক্লান্তি, কষ্ট লাঘব হয় নিমিষেই।
পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে চারশ প্রজাতির খেজুর পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। তবে ইতিহাস থেকে জানা যায়, তুরস্ক, ইরাক এবং উত্তর আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চল মরক্কোয় খেজুরের উপযোগিতা বা উৎপত্তি প্রাচীনকাল থেকেই রয়েছে । শুধু তুরস্ক বা ইরাকে নয় মেদজুল এবং দেগলেত নূর জাতীয় খেজুরের চাষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা এবং দক্ষিণ ফ্লোরিডায়ও করা হয়।
বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থেও খেজুরের কথা এসেছে বহুবার। যেমন পবিত্র বাইবেলে ৫০ বার এবং পবিত্র কুরআন শরীফে ২০ বারের মত খেজুরের বিভিন্ন উপকারিতার কথা এসেছে ।
হজরত মারইয়াম (আ.) যখন প্রসব-বেদনায় কাতর হয়ে উঠেন, সে সময়ে তিনি খেজুর গাছের নিচে অবস্থান করছিলেন, তখন আল্লাহ তাকে লক্ষ্য করে বলেন,
‘তুমি এ খেজুর গাছের কাণ্ড তোমার দিকে নাড়া দাও, (দেখবে) তা তোমার ওপর পাকা ও তাজা খেজুর ফেলছে।’ -সূরা মারইয়াম: ২৫
খেজুরের পুষ্টিমান
পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খেজুর প্রতিটি মানব দেহের জন্য সুখবার্তা স্বরূপ। খেজুরের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ ও বি৬, এমিনো এসিড, মিনারেল, ফলিক এসিড, আমিষ, শর্করাসহ একাধিক খাদ্যগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। তাই সুস্থতার হাতিয়ার হিসেবে খেজুরের পুষ্টিমান সম্পর্কে প্রত্যেকের জানা দরকার।
প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে পাওয়া যায়ঃ
উপাদান | পরিমান |
এনার্জি | ২২৭ কিলো ক্যালোরি |
শর্করা | ৭৪.৯৭ গ্রাম |
প্রোটিন | ১.৮১ গ্রাম |
ফ্যাট | ০.১৫ গ্রাম |
কোলেস্টরল | ০.০০ গ্রাম |
ফাইবার | ৬.৭০ গ্রাম |
গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও মেলে অত্যাবশ্যক ভিটামিন উপাদান। এ ছাড়াও মেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড। খেজুরে স্বল্প পরিমাণে পানি থাকে যা কিনা শুকানো অবস্থায় তেমন প্রভাব ফেলে না। সাধারণত পাকা খেজুরে প্রায় ৮০শতাংশ চিনিজাতীয় উপাদান রয়েছে। বাদ-বাকী অংশে খনিজ সমৃদ্ধ বোরন, কোবাল্ট, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম ফ্লুরিন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং জিঙ্কের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান রয়েছে।
আবার যদি একটি খেজুর হিসেবে দেখেন সে ক্ষেত্রে, একটি শুকনো খেজুরে প্রায় ৭৫-৮০% শর্করা, ২% আমিষ এবং প্রায় ২.৫% স্নেহজাতীয় পদার্থ থাকে। ১০০ গ্রাম শাঁসে ২০ ভাগ পানি, ৬০-৬৫ ভাগ শর্করা, ২ ভাগ আমিষ এবং খুব সামান্য কপার, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার,ভিটামিন এ, বি-১, বি-২ ও খনিজ লবণ ও অন্যন্য উপাদান থাকে।
খেজুরের উপকারিতা
খেজুর আমাদের সবার অতি পরিচিত একটি ফল। আর খেজুর জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল। খেজুরকে সাধারণত বলা হয় রাজকীয় ফল। শুধু এর অতুলনীয় স্বাদ আর গন্ধের জন্য নয় বরং খেঁজুরের খ্যাতি তার অসাধারণ রোগ নিরাময়ের জন্যও। আপনার সারা দিনের ক্লান্তি দুর করতে একটি খেজুর আপনার জন্য যথেষ্ট।
খেজুরের স্বাস্থ্য উপযোগিতা বলে শেষ করা যাবে না। খেজুরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক আঁশের আধিক্য থাকায় এর উপকারিতা ও গুরুত্ব অনেক। খেজুর তিনটি, পাঁচটি বা সাতটি বেজোড় করে খাওয়ায় শরীরের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। এজন্য হাদিসে বেজোড় সংখ্যার কথা বলা হয়েছে। খেজুরে কী আছে যে, আমরা এতো গুরুত্বের সঙ্গে খেজুর খাই? আসুন চটজলদি জেনে নিই খেজুরের গুনাগুন।
আয়রনের চমৎকার উৎস
যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখা প্রয়োজন। ১০০ গ্রাম খেজুরে ০.০৯ গ্রাম আয়রন থাকে। এটি শরীরের প্রতিদিনের আয়রনের চাহিদার ১১ ভাগ পূরণ করে। আয়রন রক্তস্বল্পতার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
খেজুর আয়রন বা লোহার সমৃদ্ধ যোগানদাতা। আমাদের রক্তের লোহিত কনিকা এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। লোহিত কনিকা সারা দেহে পুষ্টি বয়ে নিয়ে যায। এই আয়রন রক্তে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়।
হৃদরোগের মহৌষধ
খেজুর হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রক্তপরিশোধনে ভূমিকা রাখে। হৃৎপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণ স্বাভাবিক রাখে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য খেজুর অসাধারণ উপকারি।
নিয়মিত খেজুর খাওয়া হার্টের সমস্যা কমাতে উপকারী। এক গ্লাস পানির মধ্যে বিচি ফেলে কয়েকটি খেজুর রাখুন। পরের দিন সকালে খেজুরসহ এই পানি ব্ল্যান্ড করুন। দিনে কয়েকবার এই পানি খেতে পারেন। এটি হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কাজ করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর।
এ ছাড়া খেজুরের মধ্যে রয়েছে জিক্সাথিন ও লিউটেইন। এগুলো ম্যাকুলার ও রেটিনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।
শক্তিদায়ক খাবার
খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি থাকে বিধায় যারা একটু দূর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী, সামান্য পরিশ্রমে হয়রান হয়ে যায় তাদের জন্য খেজুর নিয়মিত একটা খাবার বললেই চলে। কেননা খেজুর নিয়মিত খেলে আপনার শরীর ও মন দুটাই ভাল থাকবে।
রমজানে ইফতারে বা এমনিতেই খালি পেটে খেজুর খেজুর খেঁজুরে যে শর্করা উপাদান থাকে তা দ্রুত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি সারাদিনের ক্লান্তি, কষ্ট লাঘব হয় নিমিষেই।
স্ট্রোক প্রতিরোধ করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
আমাদের হৃদযন্ত্রের সহ পেশিগুলোর সংরক্ষণে পটাশিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। দেহের নার্ভ সিস্টেম মেটাবলিজম ঠিক রাখতে এর প্রয়োজন অনিস্বীকার্য। খেজুরের চেয়ে ভালো পটাশিয়াম উৎস আর হয় না। এটা সোডিয়ামেরও ভালো উৎস।
এটি মস্তিষ্কের স্নায়বিক কার্যক্রম ভালো রাখে। উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রতিরোধ করে।কিডনি ও স্ট্রোক জটিলতা এড়াতে এর ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে অনেকেই প্রতিদিন একটি করে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, খেজুরের মধ্যে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম বিদ্যমান থাকে যা মানুষের ষ্ট্রোক হওয়ার ভয়াবহতাকে ৪০% কমিয়ে দেয়।
হাড়কে মজবুত করে
ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত করে। হাড়ক্ষয় রোগের হাত থেকে রাখে নিরাপদ।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি আর এটি প্রাকৃতিক আঁশে সমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা গেছে খেজুরে আছে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। আমাদের পেটের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। অর্থাৎ অন্ত্রের ক্যান্সার নিরাময়ে খেজুর খুব উপকারি। এছাড়াও আমাদের মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী। আর নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
দুর্বলতা রোধে
আমাদের দেহ ও মনকে সচল ও কার্যক্ষম রাখতে সর্বক্ষন প্রয়োজন শক্তির । এর অভাবে আমাদের দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়,শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আমাদের মানসিক অবসাদ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এসব ক্ষেত্রে শর্করা জাতীয় খাদ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিশেষ কাজ করে।আর এই খেজুর শর্করা জাতীয় খাদ্য হিসেবে খাদ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য উৎস হিসেবে কাজ করে।
গর্ভবতী মায়েদের খাবার
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুসলিম মহিয়সী মরিয়ম (আ.) যখন প্রসব বেদনায় কষ্ট পাচ্ছিলেন তখন তিনি একটি খেজুর গাছের নিচে বসেছিলেন। বাতাসে গাছ নড়ার ফলে যে খেজুর নিচে পড়েছিল তা খেয়ে তার ব্যথা উপশম হয়েছিল। বর্তমানেও সৌদি আরবের অধিবাসীরা প্রসব-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে খেজুর খাবার প্রথা অনুসরন করে থাকে । খেজুর জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে তাড়াতাড়ি প্রসব হতে সাহায্য করে। এছাড়া, এ ফল প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
সাধারণত যেসব মায়েরা গর্ভবতী বা ৭/৮ মাস সময় থেকে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য। সাধারণত এই সময়টা গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অনেক দুর্বলতা কাজ করে। তখন খেজুর গর্ভবতী মায়েদের শরীরের এই দুর্বলতা কাটাতে অনেক সাহায্য করে থাকে এবং ডেলিভারীর পর মায়েদের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ করতে ও খেজুর সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং বাচ্চা প্রসবের পরবর্তী সময়ে শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খেজুর কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে
খেঁজুরের মধ্যে রয়েছে কম পরিমাণ সোডিয়াম। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খেঁজুর উপকারী।
অঙ্গক্ষয় প্রতিরোধে
সাধারণত যারা নেশাগ্রস্ত তাদের অঙ্গক্ষয় প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে খেজুর।খেজুর অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে। আপনার স্বাস্থ্য ভালো করতে চাইলে বাড়িতে তৈরী ঘিয়ে ভাজা খেজুর ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার মুখের রুচি দিগুণ বৃদ্ধি পাবে। খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে।
রোগ প্রতিরোধে
গবেষকদের মতে শুকনা খাবারের মধ্যে খেজুরেই সবচেয়ে বেশি পলিফেনল থাকে। বিপজ্জনক অনেক রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে সহায়তা করে এই পলিফেনল। গবেষকরা মনে করেন, আমাদের খাবারের বেশির ভাগই হওয়া উচিত শুকনো খাবার। কারণ তাতে করে ফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নিউট্রিয়েন্ট থাকে। রোগ প্রতিরোধে এগুলো খুবই কার্যকর।
বদহজম রোধে
আমাদের মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে আমাদের বদহজম অনেকাংশে দূর হয়। হৃদরোগ কমাতেও খেজুর বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
রক্তপিত্তে
সাধারণত এ অবস্থায় মাঝে মাঝে গালা দিয়ে প্রচুর রক্ত পড়ে একবার রক্ত দেখা দিলে আবার ৩-৪ মাস দেখা যায় না। আবার একটা সময় গলা সুড়সুড় করে সাসির সাথে একটু একটু রক্ত দেখা দেয়। এক্ষেত্রে খেজুরের ঔষধি গুনাবলীর ব্যবহার মতে ১৫-২০ গ্রাম পিন্ড খেজুর ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ২-৩ ঘন্টা পরে চটকে ছেঁকে যে রসালো পানি পাওয়া যাবে তা খাওয়াতে হবে। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? ঘুমানোর আগে কিছু খেজুর খান। এরপর এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই কমবে।
শিশুদের জন্যে খেজুর
শিশুদের জন্যও খেজুর খুব উপকারী। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ করে।
খুসখুসে কাশি
সাধারণত যাদের খুসখুসে কাসি হয় তারা যদি এটাকে উপেক্ষা করে বা গুরুত্ব সহকারে না দেখে; তবে তা থেকে বড় ধরনের কাশের রোগ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি একটা কাজ করতে পারেন ২০-২৫ গ্রাম পিন্ড খেজুর, ২ কাপ গরম পানিতে সাড়া রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই খেজুর চেটকিযে রসালো সরবতের মতো করে খেতে হবে। এই ভাবে আপনাকে অন্ততঃ ১৫ দিন খেলে খুসখুসে কাশিতে আরাম হবে।
বিবিধঃ
এছাড়াও খেজুর নানারোগের ঔষধ; যেমন খেজুর হজমশক্তি বর্ধক, পাকস্থলীর ও যকৃতের শক্তি বাড়ায়, কামশক্তি বর্ধক, মুখে রুচি আনে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমায় উপকারি। পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারি।
শেষ কথা
সাধারণত যে কোনো ফলের চেয়ে খেজুরের পুষ্টিগুণ বেশি। এটা আল্লাহ্র বিশেষ একটা দয়া আমাদের জন্য। খেজুরের বিচিও রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। খেজুর বিচিচূর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত সাধারণত পরিষ্কার হয়।