পালং মুরগী রান্নার উপায় !
আমি এমন একটা মানুষ যে সাধারণ মানুষজনের কাছে পেটুক বলে পরিচিত। কিন্তু আমার মতে আমি পেটুক না…ভোজনরসিক!! 😉 খাওয়া-দাওয়া একটু বেশি মাত্রায় পছন্দ বলে নিজের স্বার্থেই অল্প বিস্তর রান্নাও করতে হয়, কারণ পেট তো আর বাসার মানুষের ব্যস্ততা বোঝে না। সে তো খিদে পেলেই লাফালাফি করতে থাকে !! তো আমি যে ২/১টা জিনিস একটু আধটু রাঁধতে পারি তারই একটা রান্নার প্রণালী আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করব, সেটি হচ্ছে পালং মুরগী। সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্যও যথেষ্ট উপকারী 🙂
রান্নার উপকরণঃ ১। প্রয়োজনীয় পরিমাণে মুরগী (৬ পিস) , ২। পালং শাক, ৩। টমেটো ( ২/৩ টি), ৪। রসুন (১টি), ৫। তেল, ৬। এলাচ, ৭।দারুচিনি, ৮। লবণ।
প্রণালীঃ
১। প্রথমে মুরগীর পিসগুলো ভালোভাবে পরিস্কার করে নিন।
২। টমেটো ও রসুন কেটে নিন এবং একসাথে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এই ব্লেন্ডটি ও মুরগী একসাথে মেখে রেখে দিন।
৩। প্রয়োজনীয় পরিমানে পালং শাক নিয়ে অল্প জল মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ডটি যত থকথকে হবে খেতেও তত সুস্বাদু হবে।
৪। কড়াইয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে একটি এলাচ ও একটি দারুচিনি দিন। অল্প সময় নেড়ে তাতে মুরগী ও পালং শাক দিয়ে আধা কাপ জল দিয়ে প্রয়োজনমত লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে রান্না করুন। পালং শাকের ব্লেন্ডটি যাতে এমন পরিমাণে হয় যে এটিই মুরগীর গ্রেভি হয়।
৫। মুরগী সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং জল টেনে পালং শাকের ব্লেন্ডটি মুরগীর গায়ে গায়ে লেগে আসলে নামিয়ে ফেলুন।
সাবধানতাঃ আমি যখন রান্না করতে যাই প্রায়ই একটা ঝামেলা বাঁধাই – লবণ দিতে ভুলে যাই! লবণের কথাটা ভুলে যাবেন না কিন্তু নইলে রান্নার স্বাদই শেষ।
ব্যস! হয়ে গেল পালং মুরগী ! রেসিপি লেখা যে তেমন একটা সোজা না তা এই পোস্টটা লিখতে গিয়ে বুঝতে পারলাম !! আশা করি এটি পড়ে রান্না করতে তেমন একটা অসুবিধা হবে না আপনাদের। যদি কোন সমস্যা থাকে কমেন্টে লিখে জানান আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান দিতে 🙂
শেষ করছি একটা উক্তি দিয়ে যা আমার মা আমাকে কয়েকদিন আগে বলেছিল – “রান্না করা কঠিন কিছু না, আগ্রহ থাকলেই করা যায়” !! 🙂