ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে কাজ কোথায় শিখবো?
ফ্রিল্যান্সিং এ ভালো কিছু করতে চাইলে কাজে খুব ভালো দক্ষতা থাকা চাই। আর এই দক্ষতা অর্জনের জন্যে দরকার প্রচুর পরিশ্রম, নিষ্ঠা, তীব্র ইচ্ছা আর সঠিক দিকনির্দেশনা। ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখে নিতে পারলে পারলে পরবর্তী ধাপগুলো খুব সহজ হয়ে যায়। কিন্তু ভালোভাবে কাজ শিখতে না পারলে কখনোই ভালো কিছু আশা করা যাবেনা।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্যে কাজ কোথায় শেখা যায় সেটা নিয়েই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক আমাদের এবারের পোস্ট।
অনলাইনে
কাজ শেখার জন্যে আমার পছন্দের শীর্ষেই আছে অনলাইন। অনলাইনে কাজ শেখার এতো দারুণ সুযোগ-সুবিধা আছে যে সেগুলো যদি ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার করা হয় তাহলে যেকেউ যেকোনো বিষয়ে রীতিমত “বস” হয়ে যেতে পারবে।
আগের লেখায় বলেছিলাম যে, প্রথমেই আপনার আগ্রহের বিষয় খুঁজে বের করুন। আশা করি আপনি আপনার আগ্রহের বিষয় খুঁজে পেয়েছেন ইতোমধ্যেই।
অনলাইনে অসংখ্য রিসোর্স আছে যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই শিখে নিতে পারবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত বিষয়। এর জন্যে আপনার প্রয়োজন হতে পারে ভালো স্পিডের ইন্টারনেট কানেকশন। যা আপনার অনেক মুল্যবান সময় বাঁচিয়ে দিবে। বিষয়ভিত্তিক অনেক ব্লগ/ওয়েবসাইট/ফোরাম আছে যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে ফ্রি/পেইড কোর্স রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে প্র্যাকটিসের সুযোগও। আপনাকে শুধু ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং কাজ শেখার জন্যে সময় দিতে হবে। বাকিটুকু নির্ভর করবে আপনি কত দ্রুত শিখতে পারেন আর কতটা প্র্যাকটিস করতে পারেন তার উপর।
যে বিষয়ে শিখতে চান সে বিষয়ে গুগলে একটু সার্চ করলেই অনেক কিছু পেয়ে যাবেন। আপনি গুগলিং এও অপারগ হলে ( 😉 আসলেই? ) Free “আপনার কাংক্ষিত বিষয়” course লিখে সার্চ করুন। যেমন আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখতে চান। তাহলে লিখুন, Free search engine optimization course.
অনলাইনে শিখতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো দখল থাকতে হবে। তা না হলে অনলাইনে কাজ শেখা আপনার জন্যে একটু কষ্টদায়কই হয়ে যাবে বটে !
ট্রেনিং সেন্টারে
ইংরেজিতে দূর্বলতা থাকলে বা হাতে কলমে শিখতে চাইলে ট্রেনিং সেন্টার থেকে কাজ শিখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে পাড়ার চিপাচাপার কোন ট্রেনিং সেন্টারে গেলে নিতান্তই বোকামি হয়ে যাবে। ভালো নাম ডাক আছে, সার্টিফিকেট দেয়, জনপ্রতি একটি কম্পিউটার আছে, দক্ষ শিক্ষক আছে এমন কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিং নেয়টাই ভালো।
তাছাড়া ট্রেনিং সেন্টারের সাফল্য সম্পর্কেও একটু খোঁজ খবর করে নেয়া ভালো। যারা আগে ট্রেনিং নিয়েছে তাদের কাছ থেকে মতামত নিতে পারেন ।
কাজ আপনি যেখানেই শিখুন না কেন আপনাকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। অনেক কিছুই নিজের গরযে শেখার চেষ্টা করতে হবে। আর যা যা শিখলেন সেগুলো নিয়মিত প্র্যাকটিসের মধ্যে রাখতে হবে। মাঝে মাঝে নিজেই নিজেকে একটা টেস্ট করে নিতে পারেন। ধরুণ আপনি লোগো ডিজাইনের কাজ শিখছেন। তো যেকোনো একটা কোম্পানীর লোগো নিয়ে সেটার মতো করে কিছু একটা করার চেষ্টা করুন। এতে করে কতটুকু শিখলেন তা যাচাই করতে পারবেন, পাশাপাশি আপনার শেখাটাও ঝালাই হয়ে যাবে।
আর কোর্স শেষ হয়ে গেলেই শেখা বন্ধ করে দিবেন না। কোন বিষয়ই স্থির না, নিত্য নতুন বিষয়াদি প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে বা বাদ যাচ্ছে। সেগুলোর সাথে তাল মিলানোর জন্যে নিয়মিত শেখার মধ্যেই থাকতে হবে।
আপনি কি কি বিষয়ের উপর লেখা পেলে উপকৃত হবেন বলে মনে করেন? কমেন্টে জানান আমাদেরকে। 🙂