জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফুর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। তাঁর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা এবং তিনি দুই কন্যা ও তিন পুত্রের জনক ছিলেন।
স্কুলে পড়াকালীন সময়েই তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটে। নানা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। জনগণের কল্যানের জন্য নানা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে তিনি বহুবার জেল খেটেছেন। অতঃপর পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণের বিরুদ্ধে তিনি সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। তিনি বাঙালিদের নিজ অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। তিনিই প্রথম স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। নিজ অস্ত্রকে সম্বল করে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে তিনিই বাঙালিদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি আমাদের জাতির পিতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একদল সেনা কর্মকর্তা তাঁর বাড়িকে ঘিরে ফেলে এবং তখন উপস্থিত সকলকে নির্বিচারে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং বাংলাদেশের প্রতি তাঁর অবদান সম্পর্কে আমরা সকলেই কম-বেশি অবগত। তিনি শিশুদের খুব পছন্দ করতেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য তাই ২০১১ সালে বর্তমান সরকার ১৭ মার্চকে “জাতীয় শিশু দিবস” হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ।
আজ এই মহান ব্যাক্তির ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী। আজকের এই দিনে তাঁর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁর জন্যই আমরা আজ বাংলাদেশ নামের স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে বসবাস করি। তাঁর জন্মদিনের উপহারস্বরূপ আমরা দেশের প্রতি নিজ কর্তব্যগুলোকে আসুন ঠিকভাবে পালন করি। বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি উন্নত দেশে পরিণত করা ছিল তাঁর স্বপ্ন। আমরা তাঁর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারলে সেটিই হবে তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শণের শ্রেষ্ঠ উপায়।
(পোস্ট আপডেটেড – ১৬ মার্চ ২০১৩)